মেহেরপুরের গাংনীতে ভুট্রা চাষে লাভের আশা করছে চাষীরা
এম এ লিংকন মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি : মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় এবার চলতি মৌসুমে সবচেয়ে বেশী ভুট্টার চাষ হয়েছে।মাঠের মধ্যে সবুজ পাতার আড়ালে হাসছে হলুদ রঙের ভুট্টা মাথায় লাল ফুল , গায়ে হলুদ বর্ণের এসব ভুট্টা দোল খাচ্ছে বাতাসে।উৎপাদন বেশি, খরচ কম তাই ভুট্ট চাষে লাভের আশা করছে চাষিরা ,অন্য বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে আগ্রহ বেড়েছে এখানকার চাষীদের। এবার গাংনী উপজেলায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। কৃষকরা জানান, ধান চাষের পর ভুট্টা চাষটা বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।কারণ ভুট্টা চাষে লাভ বেশি। ভুট্টার দানা মানুষের খাদ্য হিসেবে এবং ভুট্টার গাছ ও সবুজ পাতা উন্নত মানের গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য হিসেবেও এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছ।একসাথে অনেকগুলো সুবিধার কারণে এ চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের। বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি এ অঞ্চলের কৃষকরা ভুট্টা চাষ করে আসছে। উচ্ছ ফলন, বেশি লাভ আর চাহিদা অনেক থাকায় সমপ্রতি বছরগুলোতে ভুট্টা চাষাবাদ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি ভুট্টা ক্রয় করছেন। গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুন জানান ,শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, মাটির উর্বরতা যেন ঠিক থাকে এবং চাষীরা যাতে পরিকল্পিতভাবে ভুট্টার আবাদ করতে পারে সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ধান ও গমের তুলনায় ভুট্টার পুষ্টিমান বেশি।এতে প্রায় ১১ভাগ আমিষ জাতীয় উপাদান রয়েছে।আমিষে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিড, ট্রিপটোফ্যান ও লাইসিন অধিক পরিমাণে আছে।এছাড়া হলদে রংয়ের ভুট্টা দানায় প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৯০ মিলিগ্রাম ক্যারোটিন বা ভিটামিন এ থাকে। স্থানীয় ভুট্টা চাষীদের দাবি স্থানীয় কৃষিবিভাগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হলে ভুট্টচাষীরা আরো ব্যাপক হারে এর চাষাবাদ এগিয়ে নিতে পারবে।তিনি আরও জানান, ভুট্র চাষের জন্য অনুকুল পরিবেশ আছে বলে জানান।